দীপাবলীর উপলক্ষে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ড. মনিক সাহা বলেছেন, রাজ্য সরকার ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং এর অংশ হিসেবে ‘প্রসাদ’ প্রকল্পের মাধ্যমে ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরকে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে।
উদয়পুরের ৫২৩ বছর পুরানো ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে শুক্রবার দীপাবলি এবং অমাবস্যার দিনে ২ লাখেরও বেশি ভক্ত এবং সাধু সন্তরা সমবেত হন। এই মন্দিরটি 51 শাক্তিপীঠের অন্যতম হিসেবে পরিচিত এবং প্রতি বছর দীপাবলীতে বিশাল ভিড় আকর্ষণ করে।
মুখ্যমন্ত্রী সাহা জানান, “মন্দিরে ভক্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। রাজ্যে শান্তি বজায় থাকায় অন্য রাজ্য এবং বিদেশের পর্যটকরা মন্দিরটি দেখতে আসছেন।”
রাজ্য সরকারের নতুন ঘোষণা
দীপাবলীর আগে রাজ্য সরকার ১.৮৮ লাখ কর্মচারী এবং পেনশনারদের জন্য ৫ শতাংশ ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স (ডিএ) এবং ডিয়ারনেস রিলিফ (ডিএ) বাড়ানোর ঘোষণা করেছে। নতুন ডিএর ফলে রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মোট ডিএ ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে, যা কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ডিএ থেকে ব্যবধান ২৬ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে কমিয়েছে।
এছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী ড. মনিক সাহা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে তিন দিনের দীপাবলি উৎসব ও মেলা উদ্বোধন করেন এবং ‘সন্ধ্যা আরতি’ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্তমান সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, অর্থমন্ত্রী প্রণজিত সিংহ রায়, পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এবং অন্যান্যরা।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
দীপাবলীর উৎসবটি নিরাপত্তার মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। পুলিশ মহাপরিদর্শক অমিতাভ রঞ্জন আমতলীর পুলিশ স্টেশনে কালীপূজা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বলেন, “উৎসবের জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কোনো অশান্তির ঘটনা ঘটেনি।”
দুর্ঘটনা ও সুস্থতার খবর
তবে, রাজ্যে দীপাবলীর উৎসবের সময় কয়েকটি দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে সিপাহিজালা জেলার চরিলামে একটি রাস্তায় দুর্ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
দীপাবলীর এই উৎসবের মাধ্যমে ত্রিপুরা রাজ্যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে নতুনভাবে উদ্ভাসিত করার একটি সুযোগ এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টায় রাজ্যের ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো আরও উন্নত এবং আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।