
সুশান্ত চৌধুরী পর্যটন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন
রাজ্য পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বুধবার গোমতী জেলার দুটি পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন এবং চলমান কাজগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেন। পরিদর্শনকালে তিনি প্রস্তাবিত সাইটগুলো ও নতুনভাবে উন্নত সুবিধাগুলোও পর্যবেক্ষণ করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন যাতে কাজগুলো সময়মতো শেষ করা যায়।
বান্দুয়ারে ৫১ শক্তিপীঠের প্রতিকৃতি
পর্যটন মন্ত্রী বান্দুয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করেন যেখানে ৫১টি শক্তিপীঠের প্রতিকৃতি তৈরি করা হচ্ছে। শক্তিপীঠগুলি হিন্দুধর্মের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান এবং এই প্রকল্পের মাধ্যমে বান্দুয়ার এলাকাকে ভবিষ্যতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য রয়েছে। মন্ত্রী প্রকল্পটির দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন।
রাজর্ষী হিল রিসোর্টে উন্নয়ন
বান্দুয়ার আরও একটি স্থান, রাজর্ষী হিল রিসোর্টও পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন এবং মনোরম বাগান সহ এই রিসোর্টটি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে। মন্ত্রী এখানেও উন্নত সুযোগ-সুবিধার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন এবং কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেন।
চাবিমুড়া পরিদর্শন ও অভিজ্ঞতা
চাবিমুড়া, যে স্থানটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক মূর্তির জন্য পরিচিত, সেখানে তিনি পরিদর্শন করেন এবং চলমান কাজগুলোর অগ্রগতি মূল্যায়ন করেন। চাবিমুড়া বর্তমানে পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে রূপান্তরিত হচ্ছে এবং মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেন। চাবিমুড়া পরিদর্শন শেষে তিনি একটি নৌকা ভ্রমণও করেন।
পর্যটন খাতের উন্নয়নে মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি
মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একাধিকবার তার বক্তৃতায় রাজ্য পর্যটন খাতের উন্নয়ন ও পর্যটকদের জন্য আরও ভালো সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য তার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “এই প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন আমাদের রাজ্যকে একটি আন্তর্জাতিক পর্যটন গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।”
উপসংহার
পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, তা আগামী দিনে ত্রিপুরার পর্যটন খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। বান্দুয়ার শক্তিপীঠ প্রকল্প, রাজর্ষী হিল রিসোর্ট এবং চাবিমুড়া সংস্কার কার্যক্রম ত্রিপুরাকে আরও আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।